শনিবার, ২৩ মে, ২০২০

আতঙ্ক বড়ই সংক্রামক


আতঙ্ক বড়ই সংক্রামক

চোখের জলের হিন্দু-মুসলমান নেই।
দেশছাড়া হওয়ার চকচকে আতঙ্ক
গড়িয়ে পড়ে গাল বেয়ে।
তর্জনী আর কপোলে এখনও লেগে আছে
সদ্য মুছে ফেলা চোখের জলের অবশিষ্ট
আরেক ফোঁটা আগলে রেখেছে দু’চোখের পাতা।
সে চোখ তোমার , সে তোমার পরিচয়।
তোমার ধর্ম নেই, জাতি নেই।
ভগবান তোমার আবদার শুনে ভয় পায়,
সেও লাচার, ধনীর টাকা না পেলে সেও গৃহহীন হয়ে পড়ে।
আজকে যে ঘরে ঘুমাও তুমি,
যে জমির দখল রাখতে প্রতিবেশীর সাথে তোমার মোকদ্দমা চলে
সেই ঘর, সেই জমি, আগলে রাখা অলঙ্কার
নিমেষে নিঃশেষ হয়ে যাবার ভয় ঘুম ভাঙিয়ে দেয় তোমার।
যে মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা রেখেছো বিশ বছর মেয়াদে।
একদিন সেই কচি মেয়েটার জরায়ুর রক্তে
রাজপথ সিক্ত হয়ে যাবে সেই আশঙ্কায় জড়িয়ে ধরো তাকে।
জোয়ান ছেলেটার হাতে বই দেখে আঁতকে ওঠো তুমি
না জানি কবে কার নজরে পড়ে যায়।
পুরনো বাক্সটাকে জায়গা বদলে রাখো রোজ
তার ভেতরে রাখা কাগজ যেন হরিণীর মাংস,
লুকিয়ে রাখবে না হাতের কাছে রাখবে।
আতঙ্ক বড়ই সঙ্ক্রামক তুমি জানো
তবুও পারো না আট বছরের শিশুর চোখকে ফাঁকি দিতে
তার বইয়ের পাতায় তোমার আতঙ্ক ঘুর্ণিঝড় তোলে।

০৮-০১-২০২০

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন